Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

 

চাটখিল বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। আয়তনের দিক থেকে নোয়াখালী জেলার ক্ষুদ্রতম উপজেলা/থানা হিসেবে ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী চাটখিল থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। চাটখিল বর্তমানে নোয়াখালী’র ১০টি পৌরসভার একটি, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি চাটখিল পৌরসভা হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু করে।

 

অবস্থান

আয়তন: ১৩৩.৮৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৮´ থেকে ২৩°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৩´ থেকে ৯১°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

 

প্রশাসনিক এলাকা

উত্তরে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বেগমগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে সোনাইমুড়ী উপজেলা এবং পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর উপজেলা। ০৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। ইউনিয়নগুলো হল সাহাপুর, রামনারায়নপুর, পরকোট, বদলকোট, মোহাম্মদপুর, পাঁচগাও, হাটপুকুরিয়া, নোয়াখলা, খিলপাড়া। একমাত্র পৌরসভা টি হল চাটখিল পৌরসভা

 

ইতিহাস

=== প্রাচীন নিদর্শনাদি ও দর্শনীয় স্থান ===

চাটখিল উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা গুলোর মধ্যে রয়েছে রামনারায়নপুর ইউনিয়নে একটি জরাজীর্ন জমিদার বাড়ী আছে এবং বদলকোট ইউনিয়নে মেঘা দীঘি নামে একটি দীঘি রয়েছে। এছাড়া দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ সবার মন জুড়ায়।


=== মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ===

১৯৭১সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরের এলাকা নোয়াখালীর চাটখিল। এ উপজেলায় রয়েছে খেতাব প্রাপ্ত ৪ জন বীর বিক্রম ও ৬ জন বীর প্রতীক। এ ছাড়াও রয়েছে ৭শ ৫৫জন মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন । স্বাধীনতা শব্দটিকে আমাদের করতে চাটখিলবাসীর অবদান বিশাল । ১মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষনার সাথে সাথে সারা দেশের মতো চাটখিলও ফুঁসে ওঠে ।  ৭ মার্চভাষণের পর পরই চাটখিলে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ । চলতে থাকে কর্মপরিকল্পনা । স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত হয় সংগ্রাম কমিটি ।
২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ বিকেলে স্থানীয়  নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন সংগঠকবৃন্দসহ অপরাপর নেতৃবৃন্দ। সংগঠকগনসহ অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন জনতা সীমানা অতিক্রম করে ভারতের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।দীর্ঘ যুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পরাজয় বরণ করে ও ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।


=== ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ===

চাটখিল উপজেলায় ছয় শতাধিক মসজিদ, তিন শতাধিক ঈদ্গাহ, কিছু মাজার , এগারোটি  দুর্গা পূজা মণ্ডপ রয়েছে।

১৯৮৩ সালে  চাটখিল উপজেলা পরিষদে উপজেলা সমবায় কার্যক্রম চালু হয়। তৎকালীন সময় অফিস প্রধান হিসাবে একজন উপজেলা সমবায় অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।  বর্তমানে একজন সমবায় কর্মকর্তার অধীনে ০৪ জন কর্মচারীর পদ বিদ্যমান।

উপজেলা সমবায় অফিসের কার্যক্রমঃ  শ্রেণি ভিত্তিক প্রাথমিক সমবায় সমিতির তালিকাঃ ১৫-০৬-২০২৫ খ্রি.পর্যন্ত

১। মৎস্যজীবিঃ                               ০৭টি

২। আশ্রয়ণ-২                                 ০১টি

৩। সঞ্চয় ও ঋণদানঃ                      ০৩ টি

৪। বহুমুখীঃ                                    ১৮ টি

৫। ব্যবসায়ী                                    ০১ টি

৬। সি আই জি সমিতি                     ০৩ টি

সর্বমোটঃ                                        ৩৩ টি

কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির তালিকাঃ

পউবোঃ কেন্দ্রীয়                                      ০২টি।

২০২৩-২০২৪ খ্রিঃ সনের  কেন্দ্রীয় ও প্রাথমিক সমবায় সমিতি সমুহের অডিট ফি ও সমবায় উন্নয়ন তহবিল ১০০% পরিশোধ।